এবার নির্বাচনকালীন সরকার ছোট না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমরাই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে সরকারি রুটিন কাজ করব।’
ব্রাসেলসে ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’ সম্মেলনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা জানাতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রশ্নোত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনকালীন সরকার কবে হবে এবং এর আকার কেমন হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘(সরকারের) আকার–বিকার যেটা হবে, তখন দেখা যাবে। ওটা নিয়ে...আকার ছোট করলে দেখা যায়, অনেক মন্ত্রণালয়ের কাজ হয় না। কাজগুলো বাধাগ্রস্ত হয়ে যায়।’
আমরাই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে রুটিন
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উন্নয়নের ধারা যাতে অব্যাহত থাকে, সেটাই প্রচেষ্টা। ওই জন্যই বলেছি, আমাদের যেভাবে আছে ওইভাবে। কারণ, উন্নয়নের কাজগুলো যেন কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে। তাই যেভাবে আছে, চলমান থাকবে। রুটিন কাজ করবে। যে প্রার্থী হবে, সে তো আর সরকারি কোনো সুযোগ পাবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হওয়ার পর গত দুটি নির্বাচন (২০১৪ ও ২০১৮ সালে) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভা ছোট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেখা গিয়েছিল নতুন মুখও।
আমরাই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে রুটিন
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘বর্তমানে যে রাজনৈতিক কর্মসূচি, তাতে মানুষ কিছুটা ভীত। আপনি মানুষকে কীভাবে আশ্বস্ত করবেন এবং যারা এ ধরনের সহিংসতা করছে, সে রাজনৈতিক দলগুলোকে কতখানি কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিয়ে এই সন্ত্রাসবাদ দমন করবেন?’
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে হাত দিয়ে গাড়ি পোড়াবে, সেই হাতই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত। তাহলেই তাদের শিক্ষা হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আশা করব তারা এগুলো বন্ধ করবে। নয়তো এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এমনি এমনি যেতে দেব না।’
এভাবে তারা নির্বাচন থামাতে পারবে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে হবে। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। ওদের সঙ্গে নেই। জনগণকে কষ্ট দিয়ে রাজনীতি হয় না।’
إرسال تعليق